স্বপ্নদোষ আসলে কোন মারাত্নক রোগ বা অসুখ নয়। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যা সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
কারন প্রতিনিয়ত আমাদের বীর্য থলি পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।তাই সেগুলো কমানোর জন্য স্বপ্নদোষ ও প্রসাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়।তবে অতিরিক্ত (মাসে ৫-৬ বারের বেশি) স্বপ্নদোষ হলে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন
স্বপ্নদোষ নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু পরামর্শ:
![]() |
| স্বপ্নদোষ সম্পর্কে জানা অজানা সকল প্রশ্ন উত্তর |
১. ঘুমাতে যাবার আগে প্রস্রাব করে নিন। যদিও এটি স্বপ্নদোষের চিকিৎসা নয় –তবে এটি স্বপ্নদোষের চাপ কমাতে শরীরকে সাহায্য করে।
২. ঘুমাতে যাবার আগে এককাপ ঋষি পাতা (Sage Leaves –google এ সার্চ করে দেখতে পারেন। হয়তো আপনার অঞ্চলে এটি ভিন্ন নামে পরিচিত) ‘র চা পান করলে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন জনিত স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৩.অশ্বগন্ধা (Withania somnifera) স্বপ্নদোষে সৃষ্ট সমস্যায় উপকার সহ সর্বপোরী যৌন স্বাস্থ্য শুদ্ধি, হরমোন ব্যালেন্স এবং হস্তমৈথুনের ফলে দুর্বল হয়ে যাওয়া পেশীশক্তি ফিরে পাওয়া ও ভিতরগত ছোট- খাট ইনজুরি সারিয়ে তুলতে পারে।
৪. ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত পানি পান করবেন না। যদি সামান্য পরিমান প্রস্রাবের লক্ষনও থাকে বিছানা যাবার আগে প্রস্রাব করে নিন।
৫. রাতের খাবার খাওয়ার পর-পরই ঘুমাতে যাবেন না।কিছুক্ষন হাটা-হাটি করুন।
৬. প্রতিদিন সামান্য করে হলেও পুদিনা পাতা অথবা মিছরী খাবার অভ্যাস করুন।
৭. পবিত্র কোরআনের ৩০ নাম্বার পারার “সুরা তারিক” পড়ে শয়ন করুন।হালকা জিকির এবং অন্যান্য দোয়া পড়ে ঘুমাতে গেলে আল্লাহর রহমতে স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
স্বপ্নদোষ দুর করতে করণীয়:
১. আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমান।
২.যৌন চিন্তা,পর্ণগ্রাফি দেখা,খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
৩. সবসময় টেনশন,ধুমপান ও দুশ্চিন্তামুক্ত এবং পর্যাপ্ত ঘুমাবেন।
৪. ঘুমানোর আগে প্রসাব ও রাত্রে উঠে প্রসাব করবেন।
৫. প্রতিদিন সকালে ২চা চামচ মধু পান করলে সুফল পাবেন।
৬. দৈনিক বেশি পরিমাণে পানি পান করবেন।
৭. ইসবগুলের ভূসির শরবত অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ রোধ করে।
৮. সব ধরনের উত্তেজক খাদ্য ও মেডিসিন গ্রহন থেকে বিরত থাকবেন।
:::অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে হামদর্দ এর "জারনাইড" সিরাপ টি সেবন করুন।
এছাড়াও যৌন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

#ref-menu
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন